এপ্রিলের মিথ্যাচার

মিথ্যা একটি চারিত্রিক ব্যাধি । যার মধ্যে মনুষ্য রুচিবোধ কিংবা সুস্থ প্রকৃতি বিদ্যমান সে কোনক্রমেই এর প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করতে পারে না । আর না করাই হচ্ছে স্বাভাবিক মনুষ্য ধর্ম । সকল ধর্মেই এর প্রতি নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়েছে ।
‘পক্ষান্তরে সত্য পৃথিবীর স্থায়িত্বের একটি মূল ভিত্তি । প্রশংসাযোগ্য বস্তু, নবুওয়তের অংশ ও তাকওয়ার ফল । এ সত্য না থাকলে শরিয়তের বিধানসমূহ অকেজো হয়ে যেত । মূলত মিথ্যা বলার দোষে দুষ্ট হওয়ার অর্থ হচ্ছে মানবতা থেকে বেরিয়ে যাওয়া । কারণ, কথা বলা মানুষের একটি বৈশিষ্ট্য আর কথা সত্য না হলে তার কোন অর্থই থাকে না ।’
(মুহাম্মদ আল-খাদেমি: বারীকাতুন মাহমূদিয়া, ৩/১৮৩)


লোক হাসানোর জন্য মিথ্যা বলা :
মুয়াবিয়া ইবন হাইদা বলেন, আমি রাসূল সা. কে বলতে শুনেছি, ‘ধ্বংস তার জন্য যে, লোক হাসানোর জন্য কথা বলে এবং তাতে সে মিথ্যার আশ্রয় নেয়। ধ্বংস তার জন্য, ধ্বংস তার জন্য ।’
(তিরমিজি : ২৩৫, তিনি বলেছেন, হাদিসটি হাসান, আবুদাউদ : ৪৯৯০)


সব শোনা কথা বলাও হারাম :
হাফস ইবন আসেম থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেনে, ‘ব্যক্তির মিথ্যুক হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনবে তাই বলবে।’
 (মুসলিম : ৫)
ইমাম নববি রহ. বলেন, ‘এ সব হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, যা যা শোনা যায় তার সব কিছু বলা নিষেধ ।
এ সম্পর্কিত 'এপ্রিলের মিথ্যাচার' নামক একটি বই ডাউনলোড করার জন্য এখানে ক্লিক করুন ।

এপ্রিল ফুল (APRIL FOOL) বা এপ্রিলের বোকা :

এপ্রিল ফুল সম্পর্কে নির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি, তবে এ সম্পর্কে অনেক বর্ণনা ও মতামত পাওয়া যায় । এপ্রিল ফুল নিয়ে কারও কারও বক্তব্য হচ্ছে  :
আমরা অনেকেই এপ্রিল ফুল বা ‘বিশ্ব বোকা দিবস’ উদযাপন করে থাকি। অথচ এ দিবসের জন্ম রহস্য বা এর প্রেক্ষাপট সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ । প্রায় হাজার বছর পূর্বে মুসলিমরা যখন স্পেন শাসন করছিল, মুসলিমদের শক্তি অপ্রতিরোধ্য ছিল এবং খ্রিষ্ট-জগৎ বিশ্ব থেকে মুসলামনদের নিশ্চি‎হ্ন করার জন্য উঠে-পড়ে লেগেছিল, যে ব্যাপারে তারা এক ধরণের সফলতাও পায়, সে সময়ের ঘটনা এটি । স্পেন থেকে মুসলিমদের উৎখাত করার জন্য খ্রিষ্ট-জগৎ অনেকবারই চেষ্টা চালিয়েছে, কিন্তু তারা সফল হতে পারেনি । তাই তারা মুসলিমদের এ অপ্রতিরোধ্য শক্তি রহস্য জানার জন্য গোয়েন্দা নিয়োগ করল । গোয়েন্দা বাহিনীর রিপোর্ট দিল যে, মুসলিমদের আত্মিক শক্তির মূল রহস্য হচ্ছে তাকওয়া । 
তারা একমাত্র আল্লাহকে ভয় করে বলেই অন্য কাউকে ভয় পায় না । যখন তাদের নিকট মুসলিমদের শক্তির রহস্য উদঘাটন হয়ে গেল, তখন তারা এর মূলে আঘাত হানার জন্য মদ এবং নেশাজাতীয় সামগ্রী স্পেনে রফতানি আরম্ভ করল । তাদের এ কৌশল কার্যকর প্রমাণ হলো । ধীরে ধীরে মুসলিমদের ঈমান দুর্বল হতে লাগল । এক সময় পাশ্চাত্যের ক্যাথলিক খৃস্টানরা স্পেনের সকল যুবকদের কাবু করে ফেলল ।  প্রায় আট শ বছর যাবৎ মুসলিমদের যে রাজত্ব চলে আসছিল তার সর্ব শেষ ঘাঁটি গ্রানাডার পতন ঘটে পহেলা এপ্রিল ।  আর এজন্য একে এপ্রিলের বোকা বা ধোঁকা বলা হয় । তখন থেকেই তারা এর দিবসটি পালন করে আসছে । মুসলিমদের বোকা বানানোর সে দিনটিকেই তারা এভাবে উদযাপন করে এপ্রিল ফুল নামে ।
তারা এ বোকামি ও ধোঁকাবাজি শুধু গ্রানাডার বাহিনীর জন্য মনে করছে না বরং এ ধোঁকা তারা সমগ্র মুসলিম জাতির জন্য মনে করছে এবং সবার ওপরই একে চাপিয়ে দিচ্ছে । আমরা যদি এ সব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করি বা অন্ধদের ন্যায় এর অনুকরণ করি তবে এটা আমাদের জ্ঞানের দীনতা ভিন্ন বলার কিছু নেই । আমরা যদি এর মূল ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হই তবে আমাদের পরাজয়ের দিনে আমাদের উৎসব পালন করা কখনই সম্ভব হত না । বরং স্পেন থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের কর্তব হচ্ছে এসব অনুষ্ঠান প্রত্যাখ্যান করা এবং সত্যিকার ইসলামকে আমাদের জীবনে বাস্তবায়ন করা । আর কোনভাবেই আমাদের ঈমানে দুর্বলতা আসে এমনসব জীবন গ্রহণ না করা । এদিন মানুষ বিভিন্ন ধরণের মিথ্যা বলে থাকে । যেমন : কারো সন্তান, স্ত্রী বা ঘনিষ্ঠ কারও মৃত্যুর সংবাদ দেয়, ফলে সংবাদ গ্রহীতা এর দুঃখ সইতে না পেরে অনেক সময় মৃত্যু বরণ করে । আবার কারো চাকুরী চলে যাওয়া, কারো স্ত্রীর ব্যাপারে মিথ্যা অপবাদ দেয়া, কারো আগুনে পুড়ে যাওয়া বা অসুখ ইত্যাদির ব্যাপারে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে । কারণে হত্যা, তালাক ও অনেক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকে- যা কখনোই কাম্য নয় ।
তাই আমাদের ইসলাম ধর্ম এ ধরনের মিথ্যা, ধোঁকাবাজি ও প্রতারণাকে হারাম ঘোষণা করেছে ।


(মূল থেকে সামান্য সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে)

সালাত আদায়ের সঠিক পদ্ধতি ।

নবী করিম (সঃ) যেভাবে সালাত আদায় করেছেন ঠিক সেভাবে সালাত আদায় করাই সঠিক পদ্ধতি । রাসূল (সঃ) যেভাবে সালাত আদায় করেছেন সহীহ হাদিসের আলোকে নিচের বইটিতে আলোচনা করা 
হয়েছে ।
সংক্ষিপ্ত বর্ণনা : 
সালাত আদায়ের পদ্ধতি : লেখক এ কিতাব সম্পর্কে বলেন: “এ বইয়ে আমি তাকবির থেকে আরম্ভ করে সালাম পর্যন্ত সালাত আদায়ের সঠিক পদ্ধতি সংক্ষিপ্তভাবে কুরআন ও হাদিসের আলোকে বর্ণনা করেছি”।



এখান থেকেও ডাউনলোড করতে পারবেন ( 2 )


বইটি সংগ্রহ করা হয়েছে ইসলাম হাউস.কম থেকে

শত শত ইহুদি প্রতিবছর ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছে

ইসরাইলে প্রতিবছর শত শত ইহুদি আইন মন্ত্রণালয়ের অফিসে আসে  ধর্ম পরিত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণের দরখাস্ত নিয়ে
ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে অবস্থানকারী  ইহুদি একটিভিষ্টরা সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেন যে অনেক এমন ইহুদিও রয়েছেন যারা মন্ত্রণালয়কে না জানিয়েই ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছেন
মায়ারিফ পত্রিকায় ধরনের বহু তথ্য-উপাত্ত পৌঁছেছে যে শত শত ইহুদি তাদের ধর্ম পরিত্যাগ করে যুক্ত হচ্ছেন ইসলামের কাফেলায় পত্রিকার বক্তব্য অনুযায়ী বিগত পাঁচ বছরে ইহুদিদের ইসলাম গ্রহণের ঘটনা বেড়ে গিয়েছে দৃষ্টিগ্রাহ্য আকারে
কিছু ইহুদি এমনও রয়েছেন যারা ইহুদিবাদ পরিত্যাগ করে খৃষ্টবাদ গ্রহণ করছেন বলেও পত্রিকার রিপোর্টে এসেছে পত্রিকায় বর্ণিত তথ্য অনুযায়ী গত দুবছরে আইন মন্ত্রণালয়ে ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য ৩০৬ ব্যক্তি আবেদন করেছেন যাদের মধ্যে ২৪৯ ইসলাম গ্রহণে আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন আর বাকি ৪৮ জন খৃষ্টবাদ গ্রহণ করতে ইচ্ছুক
পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতিবছর প্রায় একশত ইহুদি নাগরিক ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম অথবা খৃষ্টবাদ গ্রহণ করছেন ২০০৮ সালে সংখ্যা দৃষ্টিগ্রাহ্য আকারে বেড়ে যায় বছর শুধু ইসলাম গ্রহণে আগ্রহীদের সংখ্যাই কেবল ১৪২- গিয়ে ঠেকেছে
মাআরিফ পত্রিকায় আরো এসেছে যে ২০০৯ সালে রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত ৩২ জন ইহুদি ইতো:মধ্যেই ধর্মান্তরিত হওয়ার আবেদন করেছেন বিষয়টি নিয়ে পত্রিকায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে
অনন্তকাল ইসরাইলি পরিবার নামক সংস্থার জনৈক সদস্য বলেন যে বাস্তবে যা ঘটছে ঘোষিত সংখ্যা তার তুলনায় নগণ্য; কেননা শত শত ইহুদি মন্ত্রণালয়কে না জানিয়েই ইসলাম গ্রহণ করছেন
ইহুদি ঘরানার ইসরাইলি কানিসেট মেম্বার আদরি ওরবানাহ এর মন্তব্য অনুযায়ী ধর্ম পরিবর্তনকারী প্রতিটি ইহুদি ইসরাইলি জনতার জন্য মারাত্মক ক্ষতি

উৎস : আক্কা

ফ্রান্সে ৩৬০০ ব্যক্তি প্রতি বছর ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হচ্ছে ।

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সে দেশে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ইসলাম এগিয়ে চলেছে। খ্রিস্টবাদের পর ইসলামই এখন সেখানে দ্বিতীয় ধর্ম। প্রতি বছর ৩৬০০ ব্যক্তি ফ্রান্সে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হচ্ছে বলে পরিসংখ্যানটি দাবি করেছে। মুসলমানরা সে দেশের আইন-কানুন অধিক মেনে চলে বলেও পরিসংখ্যানটিতে ইঙ্গিত এসেছে। সেখানকার মুসলিম সমাজে অপরাধ সংঘটনের নজির খুবই কম। শুধু তাই নয় বরং মুসলমানরা সালাত সিয়াম, মদ্য-পান হতে বিরত থাকার বিধান সযত্নে পালন করে যেতে অভ্যস্ত।
শতকরা তেষট্টিজন মুসলিম - গবেষণায় এসেছে- জীবনে কখনো মদ্য-পান করেনি। আর তাদের মধ্যে শতকরা পঞ্চান্ন জন আগামী বছরগুলোতে হজ পালনের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। গবেষণার উপসংহারে এসেছে অধিকাংশ মুসলিম তরুণ ধর্ম চর্চায় খুবই মনোযোগী, যা ইসলামের প্রচারকে ত্বরাম্বিত করে দিয়েছে অনেকাংশে ।


তথ্যসূত্র : ইসলাম টুডে

DDDDDD

gdfgdfg